৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া নতুন এক চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য এখন চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা কিছু অনিয়মিত অভিবাসীকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠাতে পারবে। "একজন আসবে, একজন যাবে" ভিত্তিক চুক্তির অধীনে, যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর ১৪ দিনের মধ্যে অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের অনুরোধ জানাতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। যার ব্যয়ভার বহন করবে যুক্তরাজ্য। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের এই চুক্তির আওতায় রাখা হবে না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এটি একটি "স্পষ্ট বার্তা" যে অবৈধভাবে ছোট নৌকায় আসলে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এর বিনিময়ে, যুক্তরাজ্য ফ্রান্স থেকে সমান সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রহণ করবে যারা অনলাইনে আবেদন করবে এবং যাদের মধ্যে মানবপাচারের ঝুঁকিতে থাকা বা যুক্তরাজ্যে আত্মীয় থাকা ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবে।
ইউরোপীয় কমিশনের অনুমোদিত এই চুক্তিটি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিচালিত হবে। ব্রিটেন এতে £১০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে এবং একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে বিপজ্জনক অভিবাসনপথ প্রচার করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে যাচ্ছে।
এদিকে, এই চুক্তি নিয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরাপদ ও আইনি আশ্রয়ের পথ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে, আর ডানপন্থী দলগুলোর মতে, এই চুক্তি এখনও যথেষ্ট কঠোর নয়। সূত্র: Le Monde
আইটি ল্যাব সলিউশন্স লি.