প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০৭:৪৬ (সোমবার)
'এটি বাংলাদেশ না' পর্তুগালের রাস্তায় বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বিলবোর্ড

পর্তগালের মন্তিজোর একটি বাসস্টপের পাশের একটি বিলবোর্ডের ছবি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সেখানে পর্তুগালের ডানপন্থী নেতা আন্দ্রে ভেনচুরার ছবি দেখা যাচ্ছে। পাশে লেখা রয়েছে 'ইস্তো নাও ও বাংলাদেশ', বাংলায় যার অর্থ করলে দাঁড়ায়— 'এটা বাংলাদেশ নয়'।

আন্দ্রে ভেনচুরা হলেন পর্তুগালের প্রধান বিরোধী দল 'শেগা'র একজন রক্ষণশীল নেতা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার দল অভিবাসনবিরোধী অবস্থান নিয়ে জয়ী হতে চায় বলে খবর। 

আন্দ্রে ভেনচুরার নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ইশতেহার হলো 'ইস্তো নাও ও বাংলাদেশ' বা 'দিস ইজ নট বাংলাদেশ'। বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে তার দল প্রচারণাও চালাচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে।

পর্তুগালে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। তাদের অনেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট বা সেবাখাতে কাজ করেন। আন্দ্রে ভেনচুরার দল সরকার গঠন করলে অভিবাসন নীতি কঠোর হয়ে বাংলাদেশিদের চাকরি, বসবাসের অনুমতি ও ব্যবসা পরিচালনা আরও কঠিন হয়ে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ইতোমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠছে; অভিবাসন প্রত্যাশীদেরও বাড়তি নজরদারির মুখে পড়তে হচ্ছে।

পর্তুগালে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে—এই দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যাপ্ত কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখতে পারছে?

এদিকে পশ্চিমা বিশ্বে ফার রাইট রাজনীতির প্রসার এখন বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষায় দূতাবাসগুলোর তৎপরতা আরও বাড়ানো জরুরি বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একজন বাংলাদেশি এ নিয়ে বলেছেন, আন্দ্রে ভেনচুরা একজন বর্ণবাদী নেতা। আর পর্তুগিজরা ভাববাচ্যের চেয়ে সরাসরি কথা বেশি বোঝে। এ কারণেই হয়তো তিনি বিলবোর্ডটি করেছেন। তবে এ নিয়ে প্রচণ্ড প্রতিবাদ হয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। আমরা যত দূর জেনেছি, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও অবগত। এ বিষয়টির সুন্দর সমাধান হোক, এটাই প্রত্যাশা।