অবশেষে দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকোর্ণুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। তিনি সদ্য পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেয়ারুর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী বহুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায় ছিলেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার নিয়োগের গুঞ্জন ছিল তুঙ্গে, যদিও সে সময় তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আর থেমে থাকেননি মাক্রোঁ — কঠিন রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য লেকোর্ণুকে বেছে নিলেন তিনি।
লেকোর্ণু ২০১৭ সাল থেকে মাক্রোঁর সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। গিলেট জোন আন্দোলনের সময় তিনি মাক্রোঁর পাশে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনগণের সাথে সংলাপে অংশ নেন। এমনকি আন্তর্জাতিক সংকটে, যেমন ফরাসি জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনায়, লেকোর্ণুকেই মিশনে পাঠানো হয়েছে, যা তার প্রতি প্রেসিডেন্টের আস্থার প্রমাণ।
একাধিক আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক সংকটে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এই নেতা রিপাবলিকান দল থেকে উঠে এলেও মাক্রোঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে। তার নিয়োগকে অনেকে প্রেসিডেন্টের এক প্রকার "ব্যক্তিগত পছন্দ" হিসেবে দেখলেও, এলিসি বলছে—এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেকোর্ণুকে এখন মোকাবিলা করতে হবে একদিকে রাজনৈতিক মেরুকরণ, অন্যদিকে সামাজিক অসন্তোষ। তাকে ঘিরে আছে উচ্চ প্রত্যাশা, এবং সেই সাথে কঠিন বাস্তবতাও কম নয়।
ফ্রান্স থেকে আরো পড়ুন