প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ০২:৫০
'দীপ্ত প্রাণে হর্ষ' শিরোনামে জার্মানপ্রবাসী বাংলাদেশি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে পদক প্রাপ্ত লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে প্যারিসে।
সাহিত্য সংগঠন "অক্ষর" শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী মুনির কাদেরের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শুরুতেই সংবর্ধিত অতিথি নাজমুন নেসা পিয়ারি'র নাতিদীর্ঘ পরিচিতি উপস্থাপন করেন উপস্থাপক মুনির কাদের। অনুষ্ঠান শুরু হয় নাজমুন নেসা পিয়ারি'র কথা ও কবিতা পাঠের মাধ্যমে। নাজমুন নেসা পিয়ারিকে নিবেদিত তিনটি কবিতা পাঠ করেন- কবি ও সম্পাদক বদরুজ্জামান জামান।
অনুষ্ঠানে কবিতা, ছড়া এবং সংগীত পরিবেশন করেন- আবৃত্তিশিল্পী শর্মিষ্ঠা বড়ুয়া, সঙ্গীতশিল্পী পলাশ গাঙ্গুলী, ছড়াকার লোকমান আহমেদ আপন, রোমেনা আফরোজ, ফরাসি থিয়েটার কর্মী সোয়েব মোজাম্মেল, সংগীতশিল্পী রোজি মজুমদার, আবৃত্তিশিল্পী সাইফুল ইসলাম, মেরি হাওলাদার, সঙ্গীতশিল্পী কুমকুম সাঈদা, আবৃত্তিশিল্পী আবু বকর আল আমিন ও বীনা প্রমুখ।
কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসনাত জাহান, উদীচি ফ্রান্সের সভাপতি কিরণময় মন্ডল, বিশিষ্ট অনুবাদক খান আনোয়ার, ক্রিত পরিচালক জেরেমি, নৃত্যশিল্পী শরীফ আহমেদ, সেইফ অটোস্কুলের পরিচালক মোহাম্মদ আহমদ সেলিম, উদীচি সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন , সংগঠক রাকিবুল ইসলাম, বাপন কুরি প্রমুখ।
তবলায় সহযোগিতা করেন প্লাসিড শিপন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হাসনাত জাহান।
উল্লেখ্য যে, নাজমুন নেসা পিয়ারি একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক সাংস্কৃতিক সংগঠক, বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং
একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। পরে ইডেন মহিলা কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। ১৯৮০ সাল থেকে পত্রিকাতে নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন।
১৯৭৬ সালে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগে সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। তিন বছর বাংলা বিভাগে কাজ করার পর জার্মান ও ইংরেজি বিভাগেও কাজ করেন।
১৯৯০ সালে তিনি প্রথম বিদেশী হিসেবে ডয়েচে ভেলের মার্কেটিং এবং গণসংযোগ বিভাগের সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।
২০০৩ সাল এ বিভাগে কাজ করার পর বার্লিনে চলে যান। ২০০৫ সালে তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ‘পিয়ানো টিচার’ প্রকাশিত হয়। এর মূল রচয়িতা ছিলেন নোবেল বিজয়ী জার্মান লেখিকা এলফ্রিডে জেলিনেকের লেখা।
নাজমুন নেসা পিয়ারির লিখিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য "সত্তার অসীম আকাশ : জার্মানবাসী বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধ" (২০০৯)"প্রেমে-অপ্রেমে", "শহীদ কাদরীর একশ কবিতা" (২০১৮)।
সাহিত্য কর্মে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পদকে ভূষিত হন।
শিল্প-সংস্কৃতি থেকে আরো পড়ুন