ফ্রান্স

লুভরে হাই-প্রোফাইল ডাকাতি : বিশ্বের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৩৭

মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান :

প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে সংঘটিত এক হাই-প্রোফাইল ডাকাতি ইউরোপজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত জাদুঘর হিসেবে পরিচিত লুভরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে—এটি এখন আর সন্দেহ নয়, বরং প্যারিস পুলিশের আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি।

তদন্তে জানা গেছে, ডাকাতির রাতে অ্যালার্ম সিস্টেম নিষ্ক্রিয় ছিল, কিছু নিরাপত্তা ক্যামেরা বন্ধ ছিল, আর অভ্যন্তরীণ টহল দল দেরিতে সাড়া দেয়। এই সুযোগে চোরেরা নির্দ্বিধায় প্রবেশ করে কয়েকটি মূল্যবান শিল্পকর্ম নিয়ে যায়।

চুরি হওয়া কাজগুলোর মধ্যে একটি ১৭শ শতকের বিরল চিত্রকর্ম, যার মূল্য কয়েক মিলিয়ন ইউরো। শিল্পবিশ্বে এটি এক “অপরিমেয় ক্ষতি” বলে বিবেচিত হচ্ছে। ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলেছে, “লুভরে যা ঘটেছে, তা কেবল নিরাপত্তা ব্যর্থতা নয়—এটি ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক সুনামের ওপর সরাসরি আঘাত।”

ইন্টারপোল ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, চুরি হওয়া শিল্পকর্মগুলো ইউরোপীয় সীমান্ত পেরিয়ে কালোবাজারে পাচার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা শুধু ফ্রান্স নয়, বরং গোটা বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। লুভরের মতো জাদুঘর যদি অরক্ষিত হয়, তাহলে ছোট দেশগুলোর মিউজিয়াম কতটা ঝুঁকিতে—সেই প্রশ্ন উঠছে এখন আন্তর্জাতিক মহলে। লুভর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠনের আশ্বাস দিলেও সমালোচকরা বলছেন, “ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।”

প্যারিস পুলিশ প্রধানের ভাষায়, “এটি ফ্রান্সের জন্য এক কঠিন শিক্ষা—আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষা কেবল প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে না, দায়বদ্ধতার ওপরও।”

সূত্র : le monde

ফ্রান্স থেকে আরো পড়ুন